OrdinaryITPostAd

অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয়

অতিরিক্ত প্রসার এর চিকিৎসা নিতে চান? অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয় সম্পর্কে জানতে হবে। বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমাদের অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়ে থাকে তাই অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয় জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে এটিকে সমাধান করতে পারি। তাই আজকের এই আর্টিকেলে অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয়

তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এর জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

সূচিপত্রঃ অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয়

অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয়

অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয় এ সম্পর্কে জানার আগে প্রথমে আপনাকে অতিরিক্ত প্রস্রাব কেন হয় এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে হবে। বিভিন্ন কারণে ঘন ঘন এবং অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়ে থাকে। যেমন মুত্রাশয় সংক্রমণ, রোগ, আঘাত বা জ্বালাপোড়া করা। মূত্রথলিতে পাথর হলে অথবা কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ফলে। এছাড়াও ডায়াবেটিস হলে অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়ে থাকে। এখন আমরা অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয় এ বিষয় সম্পর্কে জানব।

আরো পড়ুনঃ টিউমার ভালো করার ৯টি উপায় - টিউমার প্রতিরোধের উপায়

১। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে তরল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

২। মূত্রাশয়ের সমস্যা হয় এমন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যেমন কফি, চা, অ্যালকোহল, সোডা, টমেটো ভিত্তিক খাবার এবং চকলেট এছাড়া মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

৩। আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগী হন তাহলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে রাখতে হবে কারণ ডায়াবেটিসের কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।

৪। খাদ্য পাস পরিবর্তন করতে হবে। যেসব খাদ্য খাওয়ার পরে অতিরিক্ত প্রস্রাব হয় সেসব খাদ্যকে পরিহার করতে হবে।

। পরিমাণ মতো পানি পান করতে হবে। আপনার যদি অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়ে থাকে এবং আপনি অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করনীয়? বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগেই পানি পান করে নিতে হবে।

৬। শরীর চর্চা করতে হবে। প্রতিদিন নিয়ম করে এক্সারসাইজ করে নিতে হবে। বিশেষ করে সকালে ঘুম থেকে উঠে এক্সারসাইজ করতে হবে। কারণ শরীর চর্চা আপনাকে আরো শক্তিশালী করে তোলে এবং অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া থেকে রক্ষা করে।

ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ - রাতে বার বার প্রস্রাব

ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ? এ বিষয়ে জেনে রাখা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। অনেক সময় আমাদের রাতে বার বার প্রস্রাব হয়ে থাকে। এজন্য আমরা অনেকেই বিরক্তবোধ অনুভব করি। এই সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ এই বিষয় সম্পর্কে আগে জানতে হবে তাহলেই আমরা এর চিকিৎসা করতে পারব। নিচে রাতে বার বার প্রস্রাব এর লক্ষণগুলো আলোচনা করা হলো।

  • ঘন ঘন প্রস্রাব অথবা রাতে বার বার প্রস্রাব হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হল ডায়াবেটিস। আপনার শরীরে যদি ডায়াবেটিস সমস্যা থেকে থাকে তাহলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হল কিডনি দুর্বল হয়ে যাওয়া। কিডনি দুর্বল হয়ে গেলে অতিরিক্ত প্রস্রাব হয়ে থাকে।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ হলো ব্লাড ক্যান্সার। এছাড়া কিডনিতে পাথর হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।

ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয়

আমাদের মধ্যে অনেক ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হয় কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয়? বিষয়টি সম্পর্কে না জেনে থাকার কারণে এর সঠিক চিকিৎসা করা সম্ভব হয় না। তাই যে কোন সমস্যায় আমাদের বিশেষভাবে নজর দিতে হবে বিশেষ করে ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব কেন হয়? এর কারণ জানতে হবে এরপরে এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

১। অতিরিক্ত পানি পান করা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার অন্যতম একটি প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

২। অতিরিক্ত পরিমাণে মানসিক চাপে থাকা অথবা কোন একটি বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা করা ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার অন্যতম একটি প্রধান কারণ।

আরো পড়ুনঃ মিসক্যারেজ কেন হয় - কি খেলে মিসক্যারেজ হয়

৩। শীতের সময় যেহেতু আমাদের শরীর সুস্থ থাকে এবং এই সময় ঘাম বের হয় না তাই ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।

৪। এছাড়া ছেলেদের ডায়াবেটিস, প্রস্রাব এর জীবাণু সংক্রমণ ইত্যাদি কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব এর সমস্যা দেখা যায়।

৫। কিডনি যদি তার কাজ সঠিকভাবে করতে না পারে অর্থাৎ অকেজ হয়ে যায় তাহলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।

৬। ব্লাড ক্যান্সার এ ছাড়া কিডনিতে পাথর হলে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়ে থাকে।

৭। ছেলেদের পর্ণ দেখা বা উত্তেজক চিন্তার ফলে ঘন ঘন প্রস্রাব হতে পারে।

কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক

আপনার যদি প্রস্রাব এর সমস্যা থাকে তাহলে সঠিকভাবে এর সঠিক সমাধান করতে হবে। না হলে অনেক সময় এই সমস্যা মারাত্মক কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আপনি যদি অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয় তা জেনে রাখতে পারেন তাহলে খুব সহজেই এ রোগ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন। কারণ এই রোগ বিভিন্ন রকম কারণে হয়ে থাকে।

কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক যদি জেনে রাখতে পারেন তাহলে আপনি লক্ষ্য রেখে আপনার প্রসবের সময় স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক বিষয়টি জেনে নিতে পারবেন। তাই আপনাকে কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক তা জেনে রাখতে হবে। চার থেকে পাঁচ ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক। এছাড়া দিনে যদি পাঁচ থেকে ছয় বার প্রসব হয় তাহলে এটা স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি খাওয়া উচিত

আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি যে অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয়? এ সম্পর্কে জেনেছি এখন আমরা ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি খাওয়া উচিত বিষয়টি সম্পর্কে জানব। কারণ খাবার আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ঘন ঘন প্রস্রাব সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এর জন্য আপনাকে ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি খাওয়া উচিত? এ সম্পর্কে জানতে হবে।

ছোলা খেতে হবে - আমাদের শরীরের জন্য ছোলা অনেক শক্তিশালী খাবার। আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে এবং যৌন শক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ উপকারী। ছোলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পশু উপাদান যার ফলে মূত্রনালী সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

ডালিম খেতে পারেন - আপনার যদি ঘন ঘন প্রস্রাব সমস্যা থাকে তাহলে ডালিম খেলে এ সমস্যা যে অনেক সমাধান পাওয়া যায়। কারণ ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন যা মূত্রথলির সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

পালং শাক খেতে হবে - পালং শাক আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাদ্য। আমাদের শরীরের জন্য পুষ্টি উপাদান গুলো এই পালং শাকে পাওয়া যায়। এছাড়া ঘন ঘন প্রস্রাব এর সমস্যা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মেথি বীজ - আপনার যদি ঘনঘন প্রস্রাব সমস্যা থাকে তাহলে মেথি বীজ এর জন্য অনেক উপকারী। যেকোনো ধরনের ইউরিন ডিসঅর্ডার ভালো করতে দারুণভাবে কাজ করে এটি। তাই ঘন ঘন প্রস্রাব এর সমস্যা থেকে সমাধান পেতে হলে মেথি বীজ খেতে পারেন।

পাকা কলা খেতে পারেন - ঘন ঘন প্রস্রাব সমস্যার সমাধান করতে পাকা কলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া প্রস্রাব করার সময় জ্বালাপোড়া করা ব্যথা করা এই সমস্যাগুলো সমাধানে পাকা কলা সাহায্য করে।

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত? বিষয়টি সম্পর্কে জানার আগে প্রথমে আপনাকে আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ কি সে সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তাই আপনি কোন কারণে কোন ওষুধটি খাবেন যদি ওষুধ আলাদা হয়ে যায় তাহলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের চুলের জন্য কোন তেল ভালো

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত? এ সম্পর্কে না জানতে যে প্রথমে আপনাকে আপনার ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ বের করুন। তাহলে আপনি সঠিকভাবে এর চিকিৎসা করে নিতে পারবেন। এছাড়া ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এর মূল কারণ বের করে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাবেন। এতে করে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এই সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন।

আমাদের শেষ কথাঃ অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয়

ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত? অতিরিক্ত প্রস্রাব হলে কি করণীয়? ঘন ঘন প্রস্রাব হলে কি খাওয়া উচিত? কত ঘন্টা পর পর প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক? ছেলেদের ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ? ঘন ঘন প্রস্রাব কিসের লক্ষণ? রাতে বার বার প্রস্রাব হওয়ার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি আপনারা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আর্টিকেল পড়ে নিন।২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url